Subject Review – SE (Software Engineering) – NSTU
Subject Review – SE (Software Engineering) – NSTU
তোমরা কি গেম খেলো? গেম না খেললেও সবাই অ্যাটলিস্ট স্মার্টফোন/পিসি তো ইউজ করো? সেখানে নানা ধরনের অ্যাপ/সফটওয়ার তো ইউজ করো? কেমন লাগবে, যখন তোমার নিজের বানানো কোনো গেম তুমি নিজে খেলবে বা অন্য কাউকে খেলতে দিবে? অথবা তোমার বানানো কোনো অ্যাপ/সফটওয়ার সবার ফোনে বা পিসিতে ঘুরঘুর করবে? যে সাব্জেক্ট এর রিভিউ দিতে যাচ্ছি, এই সাব্জেক্ট এ পড়ে বের হওয়ার পর তোমার নিত্যদিনের কাজ ই হয়ে যেতে পারে এগুলো!
সাব্জেক্টটি SE/IITনামে চালু আছে SUST, DU, JU, NSTU, RU সহ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে এখানে আমি শুধু স্পেশালি NSTU- SE এর সম্পর্কেই বলবো।
সাব্জেক্টটির নাম শোনার পর অনেকের মনে অনেক রকম প্রশ্ন জাগতে পারে। আমি পুরো রিভিউ জুড়ে, সেই প্রশ্ন গুলোর ই উত্তর দিয়ে যাবো।
প্রথমতঃ এখানে কি কি পড়ানো হবে?
NSTU এ ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট পাওয়ার পর যখন এক প্রকার ডিলেমা তে ভুগতেছিলাম, কোন সাব্জেক্ট ভালো হবে আমার জন্য, তখন এক বড় ভাই SE কোর্স প্ল্যান টা দেখতে বলেন। এরকম ইন্টারেস্টিং একটা কোর্স প্ল্যান দেখার পর আমি এতটুকু ডিটার্মাইন্ড হয়ে গেছিলাম, SE তেই পড়বো ইনশা’আল্লাহ!
এখন আসল কথায় আসি, এখানে আসলে ফার্স্ট ইয়ার থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে পড়ানো হবে,
-প্রোগ্রামিং ব্যাসিক
-ডিসক্রিট ম্যাথমেটিক্স
-অব্জেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং
-কম্পিউটার আর্কিটেকচার
-কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং
-অ্যালগরিদম
-অপারেটিং সিস্টেম ও সিস্টেম প্রোগ্রামিং
-সফটওয়ার আর্কিটেকচার
-নেটওয়ার্কিং
-ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট
-সফটওয়ার ইউজাবিলিটি, ভেরিফিকেশন ও ভ্যালিডেশন
-ডাটা সাইন্স
-নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি
-ওয়েব টেকনোলজিস
-আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
-ইমেইজ প্রোসেসিং ইত্যাদি!
সাথে অপশনাল কোর্স হিসেবে ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, মেশিন লার্নিং, নিউরাল নেটওয়ার্ক, ডিপ লার্নিং, ক্লাউড কম্পিউটিং, ক্রিপ্টোগ্রাফি সহ আরো বেশ কিছু কোর্স । এসব গুলোর সাথে ফার্স্ট ইয়ার থেকেই পড়ানো হবে বাংলা, , ম্যাথ, স্ট্যাট, সোসিওলজি, BlWS, ইকোনোমিক্স সহ বেশ কিছু নন মেজর কোর্স। এক কথায়, তোমাকে পুরোপুরি অলরাউন্ডার সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার বানিয়ে দিবে! ৪ বছরে ৮ টা সেমিস্টার এ ১৬০ ক্রেডিট এর কোর্স কমপ্লিট করার পর B.Sc.(Engg.) in Software Engineering ডিগ্রি নিয়ে বের হবা NSTU থেকে! এছাড়া কোর্স প্ল্যান এ আরো দু-একটা ইন্টারেস্টিং কোর্স আছে, এগুলে সম্পর্কে পরে বলছি!
দ্বিতীয়তঃ এই সাব্জেক্ট এর স্পেশালিটি কি?
একটু আগে যে বললাম, ইন্টারেস্টিং কিছু কোর্স, সেগুলোই এই সাব্জেক্টের স্পেশালিটি! প্রথমত, প্রতি বছর একটা করে প্রজেক্ট ওয়ার্ক থাকবে কোর্স হিসেবে। যেখানে তুমি একটা করে গেম/সফটয়ার বানাবে, প্রতি বছর। ফার্স্ট ইয়ার থেকেই শুরু হবে গেম বানানোর কাজ। তাছাড়া ফোর্থ ইয়ার এ আছে ৬ মাসের ইন্টার্নশিপ। যেখানে তুমি একটা কম্পানি তে গিয়ে জব করবা ৬ মাস (উইথ স্যালারি)। সেটি পরবর্তিতে তোমার পার্মানেন্ট জব ও হয়ে যেতে পারে!
তৃতীয়তঃ CSE আর SE এর মধ্যে পার্থক্য টা কোথায়?
আজ পর্যন্ত আমি কতশত বার যে এই প্রশ্ন টা শুনছি, তার হিসেব নাই। CSE আর SE মূলত এক মায়ের পেটের দুই জমজ ভাই এর মত! শুধু একজন একটু আগে জন্মাইছে, একজন একটু পরে। এদের মধ্যে মূল পার্থক্য টা হলো, অল্প কিছু কোর্স CSE তে আছে বাট SE তে নাই অথবা SE তে আছে বাট CSE তে নাই। আর CSE কোর্স প্ল্যান এ ইন্টার্নশিপ নাই। ব্যাস এটুকুই। কেউ যদি পাই-টু-পাই পার্থক্য খুজে বের করতে চাও, CSE এর কোর্স প্ল্যান এর সাথে SWE এর কোর্স প্ল্যান তুলনা করে দেখতে পারো!
চতুর্থতঃ NSTU এ যেহেতু SE নতুন, কোনো ল্যাকিংস আছে কি না এই সাব্জেক্ট এ?
যেহেতু তোমরা ২য় ব্যাচ হিসেবে ভর্তি হবা এই সাব্জেক্ট এ, মনে এই প্রশ্ন টা জাগা স্বাভাবিক। ভর্তি হওয়ার আগে আমার মনেও এই প্রশ্ন জেগেছিলো। বাট এখানে আসার পর ফ্যাসিলিটিস দেখে পুরোপুরি মন ভরে গেছে! SE ডিপার্টেন্ট টি IIT(Institution of Information Technology) এর আন্ডারে হওয়ায়, এখানে কোনোকিছুর ই কমতি নেই। টিচার, ল্যাব ফ্যাসিলিটিস, ক্লাস রুম সবকিছুই স্বয়ংসম্পূর্ণ। SE ডিপার্টমেন্ট এর স্টুডেন্ট দের ব্যবহারের জন্য আলাদা একটা ল্যাব আছে। যা স্টুডেন্টদের জন্য ২৪/৭ খোলা! ফলে যাদের পিসি নেই, তারাও সমান তালে এগুতে পারবে। মাঝে মাঝে রাত ১০টা/১১টা পর্যন্ত বসে থাকি ল্যাব এ (নেট স্পিড অসাধারণ তো, তাই
)।
পঞ্চমতঃ আচ্ছা, এই সাব্জেক্ট এর জব সেক্টর কেমন?
এখন আইটির যুগ! CSE, SE এর মত সাব্জেক্ট এ পড়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি চিন্তা করা বোকামির মতই। একটু ভালমতো পড়াশুনা করলে আর দক্ষতা থাকলে ফিউচার এ শাইন করা খুব বেশি কঠিন কাজ হবে না।
ফাইনালিঃ এই সাব্জেক্ট এ ভর্তি হতে চাইলে NSTU ভর্তি পরীক্ষায় কত পাওয়া লাগবে?
কত পেলে চান্স পাওয়া যাবে তা জানা বলা পসিবল না। গতবার CSE এর পরেই দ্বিতীয় সাব্জেক্ট হিসেবে SE এর সিট ফিল আপ হয়েছিলো। মেরিট পজিশন এ 200 এর ভিতরে থাকলে শিউর থাকতে পারো, SE পাবা! সো, ভালো করে পড়ালেখা করো, ব্যাসিক ক্লিয়ার করো! আর এইবার যেহেতু অন্য বারের তুলনায় এক মাস পরে এক্সাম হয়ে যাবে, তাই নিজেকে আগেভাগেই প্রিপেয়ার করো।
ওহ! “প্রোগ্রামিং” এর ব্যাপারে বলতে ভুলে গেছি! এই সাব্জেক্ট এ প্রোগ্রামিং মারাত্মক ইম্পর্টেন্ট। যারা প্রোগ্রামিং এ আগ্রহী, তাদের জন্য সুখবর, তোমরা অসাধারন কিছু ট্যালেন্টেড প্রোগ্রামার সিনিয়র পাবা, যাদের কাছে যেকোনো ধরনের হেল্প চাইতে পারবা। , সারাবছর নানা ধরনের প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট হয়। হতে পারে কোনো এক সময় তুমি কোনো এক কন্টেস্ট এর শিরোপা এনে দিলে NSTU কে!
ভর্তি পরীক্ষার জন্য সবাইকে বেস্ট অফ লাক! আর যারা জুনিয়র হয়ে আসছো, তাদের অগ্রিম ওয়েলকাম!
Tag:blog, NSTU, sangshaptak, উপদেশ, বিশ্ববিদ্যালয়, সংশপ্তক