টার্গেট যাদের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ( SUST) : 😍
টার্গেট যাদের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ( SUST) : 😍
.
ankara escort
eve gelen escort
gaziosmanpaşa escort
keçiören escort
kızılay escort
kolej escort
maltepe escort
mamak escort
ofise gelen escort
otele gelen escort
rus escort
sihhiye escort
sincan escort
tandoğan escort
tunalı escort
türbanlı escort
ulus escort
yenimahalle escort
সাস্টের প্রস্তুতি নিতে চাও?
.
জাস্ট দুটি কাজ করতে হবে। তাহলেই সাস্টে ভালোমতে চান্স পেয়ে যাবে।
.
প্রথম কাজ, ফিজিক্স আর কেমিস্ট্রি ছাড়া অন্য সকল বিষয়ের মেইন বই আপাতত দূরে সরিয়ে রাখো।
.
প্রথম কাজটা করা শেষে, আর একটি কাজ বাকী। ব্যাপার না। ২/৩ মাস সময় যথেষ্ট দ্বিতীয় কাজটা করার জন্য।
.
দ্বিতীয় কাজ, সকল ভার্সিটির বিগত বছরের সকল প্রশ্ন চাপটার ওয়াইজ সমাধান করে ফেলো । এটলিস্ট ঢাবি, জাবি, বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট, চুয়েট, বুটেক্স ও সকল বিজ্ঞান-প্রযুক্তির প্রশ্নগুলো।
.
তার আগে শুধুমাত্র বিগত বছরের প্রশ্ন পড়লেই যে প্রস্তুতি সম্পূর্ণ কমপ্লিট হবে এটা প্রমাণ করার জন্য ছোট্ট একটি এক্সপেরিমেন্ট করে ফেলো। এজন্য যা লাগবে তা হলো চাপটার ওয়াইজ বিগত বছরের প্রশ্ন ও সমাধান আছে এমন কোনো বই…..
.
এবার ফিজিক্স বা কেমিস্ট্রি বা ম্যাথ যেই সাবজেক্টটিতে তুমি দক্ষ সেই সাবজেক্টটির ২০১৮ সালের প্রশ্ন বাদে তার আগের সকল ভার্সিটির সকল প্রশ্ন(যে পর্যন্ত প্রশ্নব্যাংকে আছে) বুঝে বুঝে সলভ করে ফেলো। ভুলেও ২০১৮ সালের কোনো প্রশ্ন টাচ করবা না।
.
সলভ করা শেষ হলে ঐ সাবজেক্টের ২০১৮ সালের সাস্টের প্রশ্নগুলো উত্তর ও ব্যাখ্যা না দেখে সলভ করার চেষ্টা করো । দেখবে ৭০-৮০% প্রশ্নই হুবহু কিংবা একই টাইপ থেকে কমন পাবেই। কমন না পেলেও অন্তত নিজে নিজেই সলভ করে ফেলতে পারবে।
.
এ এক্সপেরিমেন্ট শুধু সাস্টের ক্ষেত্রে না, সকল ভার্সিটির ক্ষেত্রেই খাটে। সবচেয়ে বেশি খাটে ঢাবিতে।
.
বই থেকে গৎবাঁধা পড়ার চেয়ে প্রশ্ন ধরে ধরে পড়লে সেটা মাথায়ও সহজে ঢুকবে, থাকবেও অনেকক্ষণ।
বুঝতেই পারলে যে একটাই কথা, বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করলেই প্রস্তুতি সম্পূর্ণটাই কাভার হবে। যাহোক, এক্সপেরিমেন্ট তো হলো। এখন প্রথমেই কোনো সাবজেক্ট পড়া শুরু করার আগে Question Bank থেকে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখে সাস্টের প্রশ্ন সম্পর্কে একটা আইডিয়া নিয়ে নাও। কতগুলো পারো আর কতগুলো পারো না, সেটা দেখো। তাহলে নিজের অবস্থাটা বুঝতে পারবে। তারপরও কোন সাবজেক্ট কীভাবে পড়বে সেটা নিয়ে খানিকটা আইডিয়া দিচ্ছি:
.
● ফিজিক্স: ইন্টারে তুমি যেই বইটা পড়েছো, সেই বইটা থেকে সকল ম্যাথ(অনুশীলনীর ও উদাহরণের) প্র্যাকটিস করে ফেলো। চাপ্টার ওয়াইজ সূত্রগুলো নোট করে রাখো। এরপর প্রশ্নব্যাংক হাতে নিয়ে বিগত বছরের প্রশ্নগুলো বুঝে বুঝে সলভ করে ফেলো। প্রশ্নব্যাংক সলভ করার সময় আগে সমাধান না দেখে সল্ভ করার ট্রাই করবে। পারো বা না পারো এরপর সমাধানটা দেখবে। আর অবশ্যই যেগুলো পারতেসো না ওগুলো মার্ক করে রাখবে যেনো পরে রিভাইস দেওয়ার সময় ওগুলোতে বেশি গুরুত্ব দিতে পারো।
.
● কেমিস্ট্রি: একই কথা, প্রশ্নব্যাংক সমাধান করো। যেই বিষয়গুলা কঠিন মনে হয় বা মনে থাকে না সেগুলো সংক্ষেপে গুছিয়ে নোট করে ফেলো যেনো পরীক্ষার আগে চোখ বুলিয়ে যেতে পারো। যদি মেডিকেলের জন্য মেইন বই পড়ে থাকো তবে মেইন বই থেকে ম্যাথগুলা, টপিক রিলেটেড উদাহরণগুলা, আর বিক্রিয়া গুলা(যেখান থেকে প্রশ্ন বেশি আসে) পড়ে নাও। অবশ্যই পড়ার সময় দাগিয়ে রাখবে যেনো পরে আবার রিভাইস দিতে পারো। আগে মেইন বই ভালো করে না পড়ে থাকলে এখন তেমন একটা নতুন করে পড়ার দরকার নেই।
.
● ম্যাথ: ম্যাথের জন্য মেইন বই একদমই টাচ করবা না। শুধু বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করবা। যতোটা পারো ক্যালকুলেটর ব্যবহার করার ট্রাই করবা, এতে সময়ও বাঁচবে, ভুল হওয়ারও সম্ভাবনা থাকবে কম। আর কখনো ম্যাথ দিয়ে প্রস্তুতি শুরু করবা না কিংবা পরীক্ষায় দাগানো শুরু করবা না। কারণ সাস্টে প্রায় প্রতিবছরই ম্যাথ প্রশ্ন তুলনামূলক কঠিন হয়। পারলে মাধ্যমিকের কিছু টপিক পড়ে যাবা, সাস্টে যেটা থেকে প্রতিবছরই কিছু প্রশ্ন করেই(২০১৬-১৭ তে ছিল ৪ টা)। পরীক্ষার হলে সময় পাবা অনেক, তাই কিছু প্রশ্ন দেখবা অনেকক্ষণ মাথা খাটালে পেরে যাবা। তাই যারা আগে থেকে ম্যাথ তেমন ভালো পারো না তাদের ম্যাথ নিয়ে এখন আর মাথা খাটানোর দরকার নেই, যা মাথা খাটানোর সেটা পরীক্ষার হলে খাটাবা, অবশ্যই ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ও ইংরেজি দাগানোর পর। আবারও বলতেসি, ম্যাথ নিয়ে বেশি সময় নষ্ট করবা না, ম্যাথের এক্সট্রা সময় টুকু কেমিস্ট্রি বা ফিজিক্সে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ বলে আমি মনে করি। কারণ সাস্টে কোনো সাবজেক্টে ০ পেলেও কোনো সমস্যা নেই যদি অন্যগুলোতে ভালো মার্কস তুলতে পারো।
.
● ইংলিশ: মেইন বই হাতে নিবা? তার আগে দেখো ইংলিশ মেইন বই খুঁজে পাও কিনা। খুঁজে পেলে ধুলাবালি গুলো মুছে আবার আগের জায়গায় রেখে দাও। খুঁজে না পেলে ইন্টারে মেইন বই কিনছিলা কিনা সেটা মনে করার চেষ্টা করো। যাহোক, ইংলিশের জন্যও একই কথা। বিগত বছরের সাস্ট, মেডিকেল, বিসিএস, ঢাবির সকল ইউনিটের ইংরেজির প্রশ্ন এবং পারলে অন্যান্য ভার্সিটির প্রশ্নগুলো সলভ করে ফেলো। এজন্য English For Competitive exam বইটি ফলো করতে পারো। ইংরেজি আগে থেকে ভালো আয়ত্তে না থাকলে ও সমস্যা নেই।
.
যারা এ ইউনিটে পরীক্ষা দিবে তারাও এইভাবেই প্রশ্নব্যাংক ধরে ধরে সবগুলো সাবজেক্ট পড়ে ফেলো।
.
.
পড়ার সময় যেই টপিক বুঝবা না, সেটা নিয়ে এখন বেশি সময় নষ্ট করবা না। স্কিপ করে অন্য টপিকে চলে যাবা। প্রস্তুতির শেষদিকে বা মাঝামাঝি দিকে যতোটা পারো কোচিং এ মডেল টেস্ট বা এই টাইপের পরীক্ষা দিবা। কখনো হতাশ হবা না, বিশ্বাস রাখবা, তোমাদের মতো স্টুডেন্টরাই ফাইনাল পরীক্ষার হলে সেরাটা দিয়ে আসে। বিগত বছরের ইতিহাস তাই বলে।
.
শুভকামনা তোমার জন্য। ❤
Tag:blog, উপদেশ, বিশ্ববিদ্যালয়, সংশপ্তক